কম্পিউটার কি ? এর বৈশিষ্ট্য

 বন্ধুরা প্রথমে আমরা জেনে নিই 'কম্পিউটার' কি?  একটি কম্পিউটার এমন একটি মেশিন যা যেকোনো তথ্য গণনা, তথ্য সংরক্ষণ এবং পরিচালনা করার জন্য আমরা ব্যবহার করি।  কম্পিউটার 'হার্ডওয়্যার' এবং 'সফটওয়্যার' দিয়ে তৈরি।  কম্পিউটার শব্দটি ল্যাটিন শব্দ "কম্পিউটার" থেকে এসেছে।  এর অর্থ গণনা করা বা গণনা করা।

 

 

কম্পিউটারের প্রধানত তিনটি কাজ রয়েছে- প্রথম কাজ  ডেটা নেওয়া যাকে আমরা ইনপুট (input) বলি।  দ্বিতীয় কাজটি হল সেই ডেটা প্রক্রিয়া করা এবং তারপর কাজটি হল প্রক্রিয়াকৃত ডেটা দেখানো যাকে আউটপুট(output) বলা হয়।

 চার্লস ব্যাবেজকে (Charles Babbage) আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়।  কারণ তিনিই সর্বপ্রথম যান্ত্রিক কম্পিউটার ডিজাইন করেন।তিনি 19 শতকের প্রথম দিকে প্রথম যান্ত্রিক কম্পিউটারের ধারণা ও উদ্ভাবন করেন।

ইউটিউবের মালিক কে ?

 

সুতরাং আমরা কম্পিউটারকে এমন একটি উন্নত ইলেকট্রনিক ডিভাইস বলতে পারি যা ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ইনপুট হিসাবে ডেটা নেয়।  তারপর একটি প্রোগ্রাম (নির্দেশের সেট) মাধ্যমে সেই ডেটা প্রক্রিয়া করে এবং আউটপুট হিসাবে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। এটাই কম্পিউটারের প্রধান কাজ।

কম্পিউটারের পূর্ণরূপ কী?

What is the full form of Computer?

প্রযুক্তিগতভাবে কম্পিউটারের কোনো পূর্ণরূপ নেই।  একটি কাল্পনিক রূপ আছে,

 C – সাধারণত (commonly)

 

O – পরিচালিত (operated)

 

M – মেশিন (machine)

 P – বিশেষ করে (particularly)

 

U – এর জন্য ব্যবহৃত হয় (used for)

 

T – প্রযুক্তিগত এবং (technical and)

 

E– শিক্ষামূলক (education)

 R – গবেষণা (research)

কম্পিউটার কে আবিস্কার করেন?

 আধুনিক কম্পিউটারের জনক কাকে বলা হয়?কম্পিউটার আবিষ্কারের তালিকায় অনেকেরই নাম আসে ।  তবে এদের মধ্যে চার্লস ব্যাবেজের (Charles Babbage) অবদানই বেশি।  কারণ 1837 সালে তিনিই প্রথম অ্যানালিটিকাল ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন

 

 এই মডেলের উপর ভিত্তি করে আজকের কম্পিউটার ডিজাইন করা হয়েছে।  এজন্য তার অবদান সবচেয়ে বেশি।  এজন্য তাকে কম্পিউটারের জনকও বলা হয়।

 

কম্পিউটারের সংজ্ঞা

 

একটি কম্পিউটার একটি ডিজিটাল ইলেকট্রনিক মেশিন যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাণিতিক বা যৌক্তিক ক্রিয়াকলাপগুলির ক্রমগুলি চালানোর জন্য প্রোগ্রাম করা যেতে পারে।

 

 যেকোন আধুনিক ডিজিটাল কম্পিউটারের অনেক উপাদান আছে কিন্তু সেগুলোর মধ্যে কিছু খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেমন ইনপুট ডিভাইস, আউটপুট ডিভাইস, সিপিইউ (Central Processing Unit), ম্যাস স্টোরেজ ডিভাইস এবং মেমরি।

 কম্পিউটারের কাজ

 ইনপুট (ডেটা): ইনপুট হল সেই ধাপ যেখানে ইনপুট ডিভাইস ব্যবহার করে কম্পিউটারে তথ্য ঢোকানো হয়।  এটি একটি চিঠি, ছবি বা এমনকি একটি ভিডিও হতে পারে।

 প্রক্রিয়া: প্রক্রিয়া চলাকালীন ইনপুট করা ডেটা নির্দেশ অনুসারে প্রক্রিয়া করা হয়।  এটি সম্পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া। (Input)

 

আউটপুট: আউটপুট চলাকালীন ইতিমধ্যে যে ডেটা প্রক্রিয়া করা হয়েছে তা ফলাফল হিসাবে দেখানো হয়। (Output)

একটি কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ উপাদান সমূহ :-

 আপনি যদি কখনো কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ অংশটি দেখে থাকেন তাহলে অবশ্যই লক্ষ্য করেছেন ভিতর অনেক ছোট ছোট উপাদান থাকে।, সেগুলি দেখতে খুব জটিল, কিন্তু বাস্তবে সেগুলি জটিল নয়।  এখন আমি এই উপাদানগুলি সম্পর্কে কিছু তথ্য দেব।

মাদারবোর্ড (Motherboard)

 

যেকোনো কম্পিউটারের প্রধান সার্কিট বোর্ডকে মাদারবোর্ড বলে।  এটি দেখতে একটি পাতলা প্লেটের মতো তবে এটি অনেক কিছু ধরে রেখেছে।  যেমন সিপিইউ, মেমরি, হার্ড ড্রাইভ। দেখা যায়, মাদারবোর্ড কম্পিউটারের সমস্ত অংশের সাথে সরাসরি বা সরাসরি সংযুক্ত।

 

সিপিইউ/প্রসেসর (CPU/Processor)

 আপনি কি জানেন সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট (CPU) কি?  এটি কম্পিউটার ভিতরে মাদারবোর্ডে পাওয়া যায়।  একে কম্পিউটারের মস্তিষ্কও বলা হয়। একটি প্রসেসরের গতি যত বেশি হবে, তত তাড়াতাড়ি এটি প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম হবে। আর এই কারনেই আপনি লক্ষ্য করেছেন মোবাইল বলুন বা কম্পিউটার উভয় ক্ষেত্রেই কিন্তু মানুষ কেনার আগে প্রসেসর টা অবশ্যই যাচাই করে।

 RAM

 

RAM কে আমরা Random Acess Memory নামেও চিনি।  এটি সিস্টেমের স্বল্পমেয়াদী মেমরি। কম্পিউটার যখনই কিছু গণনা করে, কম্পিউটার বন্ধ থাকলে, এই ডেটাও হারিয়ে যায়। যদি হার্ড ড্রাইভে ডেটা সংরক্ষণ করা হয়, তবে এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকতে পারে।

 RAM মেগাবাইট (MB) বা গিগাবাইট (GB) এ পরিমাপ করা হয়।  আমাদের যত বেশি RAM আছে, এটি আমাদের জন্য তত ভালো।

  

ড্রাইভ (Hard হার্ডDrive)

 হার্ড ড্রাইভ হল সেই উপাদান যেখানে সফ্টওয়্যার, নথি এবং অন্যান্য ফাইল সংরক্ষণ করা হয়।  এতে ডাটা দীর্ঘ সময়ের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।

আপনি আজ কি শিখলেন?

 

এতক্ষণে আপনি নিশ্চয়ই কম্পিউটারের পরিচয় পেয়ে গেছেন।  আমি আশা করি যে আমি আপনাকে কম্পিউটার (What is Computer) এবং কম্পিউটারের ধরন সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দিতে পেরেছি। আমি আশা করি আপনি এই কম্পিউটার প্রযুক্তি সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। যদি এই পোস্টটি আপনার ভাল লাগে তাহলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না এবং একটা কমেন্ট করে জানাবেন যে, আপনি আজকের এই পোস্ট টি পড়ে কি শিখলেন।